বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- শীত বিদায় নিচ্ছে, ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটছে। রঙ-বেরঙের সাজে সাজছে প্রকৃতি, চারিদিকে সবুজের সমাহার। আর তারই মাঝে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সোনালী রঙের আমের মুকুল।

মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠছে দিনাজপুরের বিরামপুর চার পাশ। মেতে উঠেছে বাগান চাষিরা গাছের পরিচার্য করতে।

রোববার (২৭ফেব্রুয়ারি) বিরামপুরের ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ঘুরে দেখা যায়, বসন্তকালের আগমনে ফাগুনে আগুন লেগেছে। ফাল্গুন মাসের শুরুতেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে প্রকৃতির। গাছের পরনো পাতা ঝড়ছে আর নতুন পাতা গাজিয়ে উঠেছে। আর সেই কোচি পাতার ফাঁকে বেড়িয়ে আসছে আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের গাছে মুকুল।

বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, মাঠে-ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি আম গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে বেড় হতে শুরু করেছে মুকুল। এছাড়াও বাণিজ্যিক ভাবে বাগান গুলোতেও সোনালী রঙের মুকুল বেড় হয়েছে। বাগান চাষি কিংবা গাছ মালিকদের সোনালী স্বপ্ন উঁকি মারছে সবুজ পাতার ফাঁকে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি আম মৌসুমে প্রচুর আম বাজার জাত করতে পারবে, এমনটিই আশাবাদী বাগান চাষিরা।

এরিমধ্যে ভাল ফল পাওয়ার আশা বাগান চাষিরাসহ বসতবাড়িতে থাকা আম গাছের পরিচার্যের শুরু হয়েছে। মুকুল আসার শুরুতেই গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছে। কিছুদিন পর ফুল ঝড়ে পর তা থেকে আমের গুটি বেড় হবে। তখন কীটনাশকসহ বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় স্প্রে করবে কৃষকেরা।

বিরামপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মানিক মন্ডল বলেন, ফাল্গুন মাস পড়েছে, গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফলের মুকুল আসতে শুরু করেছে।

প্রফেসরপাড়া মহল্লার আরেফুর রহমান বলেন, আমার দেড় বিঘা জমির উপর একটা আম বাগান করেছি। বসগানে ফজলি, হিমসাগর, ন্যাংড়া, নাগ ফজলি সহ কয়েক জাতের আমের গাছ আছে। বাগানের বয়স ৫ বছর, প্রতিটি গাছ কলম করা, তাই ছোট থেকে গাছে আম ধরেছে। আশা করছি আবহাওয়া ভাল থাকলে এবারও আমের ভাল ফলন পাবো।

বিরামপুর উপজেলার কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, চলতি আম মৌসুমে এবার উপজেলায় বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ১শ ৪ হেক্টর জমিতে আমের গাছ রয়েছে। প্রায় গাছে আমের মুকুল আসছে। আমরা আম বাগান চাষি সহ বসতবাড়ি থাকা আম গাছ মালিকদের সেবা দিয়ে আসছি। এছাড়াও গাছের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেছি।